Best Seller Books

random/hot-posts

জবাবঃ- এ ব্যপারে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়। (ক) সাওম ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা ম্যানথল বা ইনহেলার কিংবা এ জাতীয় অন্যান্য ঔষধ যেমনঃ শাস...

ম্যানথল(যা মাথা ব্যাথার জন্য গরম পানির সাথে মিশিয়ে গন্ধযুক্ত বাষ্প নাক দিয়ে টেনে ব্যবহার করা হয়)প্রশ্ন হল,রোজা অবস্থায় এরকম ঔষধ ব্যবহারের হুকুম কি?এক্ষেত্রে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?


জবাবঃ-

এ ব্যপারে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।

(ক)
সাওম ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা ম্যানথল বা ইনহেলার কিংবা এ জাতীয় অন্যান্য ঔষধ যেমনঃ শাসকষ্ট রোগীদের সেবনযোগ্য গ্যাস ইত্যাদি ব্যবহার করলে গলা দিয়ে খাদ্যনালীতে গিয়ে পৌঁছে যায়।যদিও তা অল্প পরিমাণে গিয়ে পৌঁছক না কেন।(এ জন্য সাওম ফাসিদ হয়ে যাবে)পরবর্তিতে সুস্থ হলে সাওমকে ক্বাযা করে নিবেন।নতুবা ফিদয়া আদায় করবেন।
এটাই পূর্ববর্তী হানাফী মাযহাবের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিলো।

(খ)
সাওম ফাসিদ হবে না।কেননা ঐ সমস্ত জিনিষের মাধ্যমে ভিতরে চলে যাওয়া জিনিষ নিতান্তই কম, অন্যদিকে এতে মানুষের রয়েছে অনেক ফায়দা নিহিত রয়েছে।এমনকি মানুষ এ সমস্ত জিনিষ ব্যবহার করতে শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে যায়।(এ জন্য সাওম ফাসিদ হবে না)
এ মতামত ব্যক্ত করেছেন আরব বিশ্বের অনেক উলামায়ে কেরাম।
(মুফতিরাতিস সিয়ামিল মুআছির-৩৯-৪৪)

এবং কেউ কেউ বলে থাকেন, বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের বক্তব্য অনুযায়ী নাক-কানে সেবনকৃত জিনিষ সরাসরি মস্তিষ্কে বা খাদ্যনালীতে গিয়ে পৌঁছে না।বরং রক্তের সাথে মিশে সারা শরীরে পৌঁছে যায় পরবর্তিতে মস্তিষ্কে পৌঁছে।
যেহেতু সাওম ফাসিদ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় পাকস্থলী বা মস্তিষ্কে কোনো কিছু পৌছা জরুরী। তাই এ সমস্ত জিনিষ সেবনের ধরুন সাওম ফাসিদ হবে না।



  1. বর্তমান পালনীয় পদ্ধতিঃ

বর্তমানে কোন পদ্ধতিকে অনুসরণ করা হবে বা পালনীয় সিদ্ধান্ত কি?

এ সম্পর্কে মুফতিয়ানে কিরামগণ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।
 এরকম অসুস্থ ব্যক্তিবর্গ ম্যানথল জাতীয় ঔষধ ব্যবহারসহ সাওম চালিয়ে যাবেন।তবে সতর্কতাবশত পরবর্তিতে যখন সুস্থ হবেন,তখন ছুটে যাওয়া সাওম সমূহকে ক্বাযা করে নিবেন।যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে ফিদয়া আদায় করে নিবেন।
কিতাবুন-নাওয়াযিল-৬/৩৮৬।
কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৩৯১।
মারাকিল ফালাহ-৫৬৬।
শামি-৩/৩৬৬।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

0 Reviews: